পরকীয়া


                  
পরকীয়া নিয়ে রায় বেরুবার পর সোশ্যাল মিডিয়াতে ঝড় বইছে। কেউ সাপোর্ট করছেন তো কেউ তীব্র নিন্দা। তবে গেল গেল রব একটা উঠেছে। আচ্ছা বলতে পারেন ভালবাসাকে বা মনকে কি কোনো কিছু দিয়ে বেঁধে রাখা যায় না যাবে!পরকীয়া হয় কেন? এটা তো আমাদের আলোচ্য বিষয় হওয়া উচিত বা জানা দরকার। আমার ভালবাসার মানুষ যদি আমাকে সম্পূর্ণ ভাবে ভালবাসতে পারেন তাহলে আমি কেন পরকীয়া তে যাব। ভালবাসা হয় দুটি মানুষের মধ্যে। সেই দুটি মানুষের মধ্যে যদি সম্মান, শ্রদ্ধা, বিশ্বাস, ভালোবাসা যদি সমানভাবে থাকে তাহলে সে সম্পর্কে কখনও পরকীয়া আসতে পারে না।
পরকীয়া এই আইনের উপর নির্ভর করে শুরু হবে এমন নয়। পরকীয়া বিভিন্ন কারণে হতে পারে তবে এর মূল কারণ অভাব বোধ। এই অভাববোধ টা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। 1.ধরুন স্বামী প্রচুর রোজকার করে কিন্তু স্ত্রী তার কাছে চাইছে সময় সেটা স্বামীর কাছে পাচ্ছে না অভাব বোধ ঘটছে। উল্টোটাও হতে পারে। তখন যার এই অভাব বোধ জন্মায় সে কিন্তু তার সমমনস্কের কাউকে খোঁজে এবং তার প্রতি নির্ভরশীল হয়ে ওঠে। 2.সম্মান. প্রতিটা মানুষের আত্ম সম্মান বোধ আছে। একে অপরকে যদি সম্মান ঠিক মতো না করে তাহলে কিন্তু অভাব বোধের সৃষ্টি হতে পারে। আর এরফলে যে তাকে সম্মান করে তার প্রতি একটা আলাদা টান অনুভূত হয়। 3.বিশ্বাস-সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে এটার ভূমিকা অশেষ। একজন যদি অপর জনকে বিশ্বাসী না করে তবে সম্পর্ক টিকবে কি করে। আর এখান থেকে আসে একধরনের অভাব বোধ।
4.সবশেষে আসি ভালবাসার কথায়। শরীর ও মন উভয় দিকের ভালবাসা যদি সমপরিমান থাকে তাহলে তো আর পরকীয়াতে যাবার কোনো কথায় নেই।
তাই পরকীয়া মানেই তার চরিত্র খারাপ এটা মনেহয় বলা যায় না। অভাব বোধ দূর করুন একে অপরের, বোঝার চেষ্টা করুন একে অপরকে তাহলে নিশ্চয়ই এটা থেকে মুক্তি মিলবে।

শ্রাবণী

Comments

Popular posts from this blog

অবৈধ

টেলিপ্যাথি

বিশ্বাসঘাতকের কাছে ম্যাসেজ......